দিন যায়, মাস যায়, পেরিয়ে যায় বছরও। তবে বাংলাদেশের শেখাটা যেন শেষই হয় না, শেখাটা খারাপ কিছু নয়; কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভালো করতে হলে প্রতিদিনই শিখতে হয়। তবে সেই শেখাটা কাজে না লাগাতে পারাটাই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
আমরা শিখছি, পরবর্তী সিরিজে সেটা কাজে লাগানো হবে। যে কোন সিরিজে হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়কদের নিয়মিত উত্তর এটা, এবারও তার ব্যতিক্রম কিছুই শোনা গেল না। ইঞ্জুরির কারণে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কণ্ঠ থেকেও একই গান শোনা গেল।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে যায় ১০ ওভারে, টস জয়ে শুরুটা বাংলাদেশের হলেও সেই সফলতা দ্রুতই মিলিয়ে গেছে বোলার-ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়। নিউজিল্যান্ড সফরে যে কয়টাতে বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছে তার মধ্যে অন্যতম মিস ফিল্ডিং, প্রতি ম্যাচের মতো আজও পিচ্ছিল ছিল টাইগাদের হাত।
সেই সুযোগটা বেশ ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছে অ্যালেন ফিনরা, নির্ধারিত ১০ ওভারে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে হার এড়ানো কিংবা লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়া তো দূরের কথা, ১০ ওভারও খেলতে পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা; ফিন অ্যালেনের করা ৭১ রান টপকে ৭৬ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচ কিংবা সফর থেকে শেখার কি আছে সেটা বাংলাদেশ দলই ভালো বলতে পারবে, তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছেন তারা শিখছেন এবং সেটা পরবর্তীতে কাজে লাগাবেন। তবে হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিং-ফিল্ডিংকেই দায়ী করেছেন লিটন, “ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে আমরা ভালো করতে পারছি না। এটার মাশুলই গুনতে হয়েছে।”
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন দাস বলেন, “আমরা মূলত উপমহাদেশের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। কিন্তু এটাও জানতে হবে বাউন্সি উইকেটে কিভাবে খেলতে হয়, আমরা শিখছি। শিখছি এখানকার উইকেট ও কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয়, আশা করি পরেরবার ভালো করবো।”