দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে গেলেও দারুণ ব্যাট করছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার ফখর জামান, প্রোটিয়া কোন বোলারই তার কাছে পাত্তা পাচ্ছিলো না। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফখর জামান, তবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।
তবে ফখর জামানকে আউট করতে বৈধ পন্থা অবলম্বন করেনি ডি কক এমনটাই অভিযোগ পাকিস্তানিদের, মাঠের আম্পায়াররা কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও পরে শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির ৭৫% জরিমানা করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারের ঘটনা, দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার লুঙ্গি এনগিদির বলে দুই রানের জন্য ছুটছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা ফখর জামান। ১ রান সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় রান নিতে গেলে কুইন্টন ডি কক বোলারের দিকে বল ছোড়ার অভিনয় করেন, ফখর সেটাকে সত্য মনে করে দৌড়ের গতি কমিয়ে দেয়।
আর সেই সুযোগে ফখরকে রান আউট করেন ডি কক, তার এই অভিনয় নিয়ে মুহুর্তেই সমালোচনার জন্ম দেয়। যদিও ডি ককের সতীর্থ তাবরাইজ শামসি দাবী করেছেন, ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে নয়; নিজ দলের ফিল্ডারকে নির্দেশনা দিতেই ইশারা করেছিলেন কুইন্টন ডি কক।
এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব, ডি কককে নিয়ে যে বিতর্ক তার জন্য কোন শাস্তি হবে কি-না বা কি ধরনের শাস্তি হবে সিদ্ধান্ত আম্পায়ারকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে কেউ যদি ব্যাটসম্যানকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে তার শাস্তি কি হবে সেটা জানিয়েছে এমসিসি।
এই বিষয়ে এমসিসি জানিয়েছে, “প্রতারণা করার বদলে প্রতারণার চেষ্টার ক্ষেত্রে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, আম্পায়াররাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছিল কি-না। তাই যদি হয়, তবে ব্যাটসম্যানকে নট-আউট ঘোষণা করা হবে ও ৫ রান পেনাল্টি দেওয়া হবে। ব্যাটসম্যান যে দুই রান নিয়েছেন, সেটিও যোগ হবে, সেই সাথে ব্যাটসম্যানরা ঠিক করবেন, পরের বলটি কে মোকাবিলা করবে।”