বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যক্রমের অধিকাংশ অর্থই বরাদ্দ হয় ফিফা থেকে। আর সেই ফিফার সাথে আজ এক ভার্চুয়াল সভায় বসেছিল বাফুফের ফিনান্স কমিটি। যেখানে বাফুফেকে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় তাগিদ দিয়েছে ফিফা এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
তিনি আরও বলেন, “ফিফার নির্দেশ মতাবেক অধিকাংশ লেনদেন আমরা চেকের মাধ্যমে করি। প্রায় ৯০% পেমেন্ট চেকের মাধ্যম করা হয়। আমি গত চার বছরে ১১০০-১২০০ টাকা এমনকি ৮০০ টাকাও চেকের মাধ্যমে করেছি।”
গতকাল এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিনান্স কর্মকর্তা আবু হোসেনের উপর ক্ষোভ ও রাগ প্রকাশ করেছিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। নিজের কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপর খুশি কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,
“প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি পার্ফরম না করতে পারে তবে সে ব্যাপারে ফারাক থাকতে পারে। ফিনান্স একটা সেন্সিটিভ বিষয়। আবু হোসেন নিয়মিত অফিস করে না তাই আমি গতকাল সে বিষয়ে রাগ প্রকাশ করেছিলাম। তাছাড়া বাকি সব কিছু ঠিক আছে।”
তবে সবার প্রশ্ন ছিল যদি ফান্ড বন্ধই না করে তবে ফিফা কেন বাফুফেকে চিঠি দিলো? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাম মুর্শেদী বলেন,
“ফিফা ও এএফসি আমাদের নিয়মিতই চিঠি দেয় বিভিন্ন সময়ে। এটা তারই একটা অংশ।”
যদিও ফিফার দেওয়া চিঠি গণমাধ্যমকে দেখানো হয়নি। কি কারণে দেখানো যাবে না সে বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন,
“ফিফা-এএফসির কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো তৃতীয় পক্ষের সাথে শেয়ার করা যায় না।”