কট্টর ধর্মপন্থী আর কট্টর নাস্তিক… তারা সবাই নিজ নিজ মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে সদা ব্যস্ত। এর জন্য কখন কাকে কিভাবে কী আখ্যা দিতে হয় সেসব ভূলে বসেছেন তারা। আস্তে আস্তে সুন্দর এই পৃথিবী চলে যাচ্ছে নষ্টের দখলে। এইতো নারীবাদী নাস্তিক লেখিকা মঈন আলীর মত ভদ্রলোককে নিয়েই জঘন্য মন্তব্য করে বসলেন।
টুইট করে জানালেন, “মঈন আলী ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে (জঙ্গি সংগঠন) যোগ দিতেন।” মঈন আলী একজন ক্রিকেটার হিসেবে নন একজন ব্যক্তি হিসেবে কতটা ভদ্রলোক তা শুধুমাত্র তার আশেপাশের লোক গুলোই জানেন না, জানেন পুরো বিশ্ব। তাইতো সতীর্থ মুসলিম খেলোয়াড় কে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য কিছুতেই সহ্য করতে পারেননি জোফরা আর্চার, বেন ডাকেটের মত অমুসলিম খেলোয়াড়েরাও।
এটাই পৃথিবীর চিরচারিত নিয়ম। যখন এক নষ্টের উদয় হয় তখন এক বিনষ্ট কে প্রতিহত করতে শত ব্যক্তি জেগে ওঠেন। তসলিমা নাসরিনের এমন জঘন্য মন্তব্য প্রতিহত করতে যে যেখান থেকে পেরেছেন বিশ্বব্যাপী সবাই তার মতের বিরোধিতা করেছেন। জোফরা আর্চার পরামর্শ দিয়েছেন টুইটটি মুছে নিতে। অনেকেই তো আবার তার অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করার কথাও বলেছেন।
শেষ পর্যন্ত শত শত মানুষের তোপের মুখে টুইটটি মুছে নিতেই বাধ্য হয়েছেন এই নারী।
বরাবরই ধার্মিক মতাদর্শে চলতে পছন্দ করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। একজন মুসলিম ক্রিকেটার হিসেবে মদ্য জাতীয় জিনিস পছন্দ করেননা তিনি। এবং অ্যালকোহল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন সম্বলিত জার্সি পরতেও অস্বীকৃতি মঈনের এমন গুঞ্জন উঠেছিল নেট মাধ্যমে। সাম্প্রতি মঈনের চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি থেকে মদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ বলে জানা যায়। যার ফলেই এমন মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন।