নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয়ের খরা এবারের সফরেও কাটাতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজেই অসহায় আত্মসমর্পণ করে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। ব্যাটে-বলে করুণ পারফর্মেন্সের সাথে বাজে ফিল্ডিংয়ে পুরো সফর দুঃস্বপ্নের মত কেটেছে বাংলাদেশ দলের।
দলীয়ভাবে হতাশাজনক পারফর্মেন্সের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও কোনও বাংলাদেশি ক্রিকেটারই সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। বরং দুঃস্বপ্নের মতো এক সময় কেটেছে এই সফরে। ব্যর্থতার সেই মিছিলে সবার সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
তিন ওয়ানডেতে যেখানে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন স্বাগতিক দেশের ব্যাটসম্যানরা, সেখানে একবারও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে পারেনি কোনও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। পুরো সফরে ৬ ম্যাচে মাত্র ৪টি ফিফটি এসেছে টাইগারদের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে সর্বাধিক রান এবং গড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৩ ওয়ানডে এবং ২ টি-টোয়েন্টি মিলে ৩৭ গড়ে ১৫১ রান করেছেন তিনি। টাইগারদের এবারের সফরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংসটিও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
এছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই এই সফরে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও সর্বসাকুল্যে শত রানের গন্ডি পেরুতে পারেননি। ২৩ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৩ রান এসেছে মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাট থেকে, যেখানে এক দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ৭৩* রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি।
টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩ ওয়ানডেতে ৩০ গড়ে করেছেন ৯০ রান। আর ৩ টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার নাইম শেখ ২৮ গড়ে করেছেন ৮৪ রান। আর তিন ওয়ানডেতে ৭৮ রান করেছেন মুশফিক, যেখানে তার গড় ২৬।
এবারের সফর ভুলে যেতে চাইবেন লিটন কুমার দাস। দুই ফরম্যাটে সর্বসাকুল্যে ৬ ম্যাচ মাত্র ৫০ রান করেছেন টাইগার ওপেনার। আর সৌম্য সরকার করেছেন ৯৯ রান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ৫১ রানের ইনিংস ছাড়া তিনিও উইকেটে আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন।
নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা দুই ফরম্যাটের ৬ ম্যাচে সবমিলিয়ে ৫১ বার আউট হয়েছেন। যেখানে ক্যাচ আউট ৩২ বার, বোল্ড ১২ বার, এলবিডব্লিউ ৩ বার, স্টাম্পিং ২ বার এবং রান আউট হয়েছে ২ বার।