এবারের এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি খেলবে বসুন্ধরা কিংস। কিংসের পাশাপাশি এএফসি কাপে খেলবে বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড ঢাকাও। তবে সরাসরি গ্রুপ পর্বে নয়, আবাহনীকে পাড়ি দিতে হবে প্লে-অফের বাঁধা।
আগামী ১৪ই মে থেকে মালদ্বীপে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এএফসি কাপের গ্রুপ ‘ডি’ এর খেলা। গ্রুপ ‘ডি’ এর চতুর্থ দল এখনও নিশ্চিত নয়। প্লে-অফের বাঁধা পাড় করেই গ্রুপ ‘ডি’তে জায়গা করে নিবে একটি দল। এই গ্রুপ ‘ডি’তে জায়গা করে নেওয়ার জন্যই লড়তে হবে আবাহনী লিমিটেড ঢাকাকে। একটি নয়, দুইটি বাঁধা পার করতে হবে মারিও লেমোসের শীষ্যদের। যার প্রথমটা হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৪ই এপ্রিল।
৭ এপ্রিল ভুটানের থিম্পু সিটি ও মালদ্বীপের ইগলসের মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ী দলকেই পাবে আবাহনী। তবে ১৪ এপ্রিল ঢাকার মাঠে ম্যাচ গড়াবে কিনা সেটা নিয়েই শঙ্কায় পড়েছে আবাহনী ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কেননা লক ডাউন শেষই হবে ১২ই এপ্রিল। যদি লক ডাউন আরও দীর্ঘ হয় তবে ১৪ই এপ্রিল আবাহনীর ম্যাচ হচ্ছে না সেটা এক প্রকার নিশ্চিতই বলা যায়।

লক ডাউনের কার্যক্রম যদি না বাড়ে তবে আবাহনীর প্রতিপক্ষ ঢাকায় আসতে পারবে ১৩ এপ্রিল, এসেই পর দিন মাঠে নামা কোনও ভাবেই সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি আরও জানান,
“আমরা এশিয়ান কনফেডারেশনকে বিষয় গুলা অভহিত করেছি। আগামী ১৪ই এপ্রিল আবাহনীর এএফসির ম্যাচ রয়েছে। ঢাকায় এই ১৪ এপ্রিলের ম্যাচ আয়োজন করা এক প্রকার অসম্ভব। কারণ ইতোমধ্যে ১২ তারিখ পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বিদেশি অফিসিয়ালদের আসা-যাওয়ায় ট্রাভেল রেস্টিকশন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয় গুলা আমরা এএফসিকে জানিয়েছি যে ১৪ তারিখের ম্যাচটা আমাদের আয়োজন করা সম্ভব না।”
বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ যদি না কমে তাহলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও খেলতে হতে পারে আবাহনীকে। সে ক্ষেত্রে ঘরের মাঠের সুবিধা হারাতে হতে পারে সোহেল রানা, সাইঘানিদের। যদিও এএফসি এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।
তবে এখন এসব নিয়ে ভাবতে চান না আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস। খেলা যখনই মাঠে গড়ায় তখনি যেন তার শিষ্যরা সেরাটা দিতে পারে সেটা নিয়ে কাজ করছেন এই পর্তুগিজ কোচ। তিনি আরও বলেন,
“আমি জানি না এই লক ডাউনে কি হবে। ঢাকায় খেলা হলে আমাদের জন্য অনেক ভাল হবে। যদি এএফসি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচটি আয়োজন করে তবে সেটাও মেনে নিতে হবে।”