নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার আগে কোচ জেমি ডে বারবার বলেছেন, আমরা ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি না, ফুটবলারদের যাচাই বাছাই করতেই এই টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি।
তবে টুর্নামেন্ট শেষে কোচ জেমি ডে তা লক্ষ্য পূরণের কথাও জানিয়েছেন। যে লক্ষ্য নিয়ে গিয়েছিলেন সেটাও নাকি পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
নেপালে এটা ছিল একটা টুর্নামেন্ট, তাই বাফুফে থেকে শুরু করে দেশের মানুষেরও ট্রফি জয়ের একটা চাওয়া-পাওয়া ছিল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের মানুষকে ট্রফি উপহার দিতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল ফুটবলাররা কিন্তু তা করতে পারেনি। ফাইনালে নেপালের কাছে ২-১ গোলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে জামাল-জিকোদের।
তাই নেপালের এই ব্যর্থতার কারণ জানতে কোচ জেমি ডে ও সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসকে বাফুফে ভবনে ডেকে নেয় কাজী সালাউদ্দিন। সাথে ছিলেন জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান জনাব কাজী নাবিল আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। প্রধান ও সহকারী কোচের সাথে লম্বা আলোচনা সেড়ে কয়েকটা ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন তিনি।
নেপালে হারের কারণ হিসেবে অনেকেই কোচ জেমি ডেকে দোষারোপ করছে। তাদের মত যে জেমি ডে’র ব্যর্থতার কারণেই আমরা ট্রফি জিততে পারিনি। তবে কি কাজী সালাউদ্দিন এই কোচের ব্যর্থতায় বিকল্প কিছু ভাবছে? এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি জানালেন,
“ফুটবলে ব্যর্থ হলে বিকল্প চিন্তা হবেই। এ চিন্তা কেবল আমি করছি না, গোটা দেশও করছে। বিকল্প ভাবনা সবাই করছে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে কবে, কখন ও কিভাবে হবে। আসলে সমস্যাটা আমি ঠিকমত ব্যাখ্যা করতে পারছি না যে কিভাবে বলবো। সমস্যাগুলো আমরা দেখেছি, তারা দেখেছেন এবং আপনারাও দেখেছেন। সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে না পারলে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে।”
