অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট ড্র হয়েছে, প্রথম ম্যাচও ড্র হওয়ায় সিরিজটিও ০-০ ব্যবধানে ড্র হয়েছে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও সিরিজ সেরা সুরাঙ্গা লাকমল।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে টেস্ট সিরিজ ড্র হতে দেখেছিলো ক্রিকেট বিশ্ব, এরপর অনেক অনেক সিরিজ মাঠে গড়ালেও শূন্য ব্যবধানে তা ড্র হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ৬৮ মাস পর আবারও ০-০ ব্যবধানে সিরিজ ড্র দেখা গেল।
৬৮ মাস আগে শূন্য ব্যবধানে ড্র হওয়া সিরিজে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজ ০-০ ব্যবধানে শেষ হয়েছিলো। যদিও তাতে বড় অবদান বৃষ্টির, ঘরের মাঠের সেই সিরিজ বেঁচে গেছিলো বাংলাদেশের।
অ্যান্টিগা টেস্ট শেষ দিনে ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলো, কারণ শেষ দিনে শ্রীলঙ্কার যা লক্ষ্য তাতে জেতার চেষ্টা করলে বরং হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। পঞ্চম দিনে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৪৮ রান করতে হতো লঙ্কানদের, কিন্তু কঠিন সেই পথে হাঁটেনি দলটি।
বিনা উইকেটে ২৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে, উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান তোলেন দুজনে। থিরিমান্নে ৩৯ রানে আউট হলেও ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন দিমুথ করুনারত্নে, ওশাদা ফার্নান্দোর ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস।
শ্রীলঙ্কা ৭৯ ওভার ব্যাটিংয়ের পর ২ উইকেটে ১৯৩ রান তোলার পর দুই দলই ড্র মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে, দিনেশ চান্দিমাল ৬৬ বল খেলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১ টি করে উইকেট পেয়েছেন আলজারি জোসেফ ও কাইল মায়ার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১ম ইনিংস ৩৫৪ (ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ১২৬, রাকিম কর্নওয়াল ৭৩, সুরাঙ্গা লাকমল ৪/৯৪, দুশমন্ত চামিরা ৩/৬৯)
২য় ইনিংস ২৮০/৪ ডিক্লেয়ার. (ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৮৫, জেসন হোল্ডার ৭১, কাইল মায়ার্স ৫৫, সুরাঙ্গা লাকমাল ২/৬২)।
শ্রীলঙ্কা
১ম ইনিংস ২৫৮ (লাহিরু থিরিমান্নে ৫৫, পাথুম নিসাঙ্কা ৫১, কেমার রোচ ৩/৫৮, জেসন হোল্ডার ২/৩৯)
২য় ইনিংস ১৭৩/২ (দিমুথ করুনারত্নে ৭৫, ওশাদা ফার্নান্দো ৬৬*, লাহিরু থিরিমান্নে ৩৯, কাইল মায়ার্স ১;৫)।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচঃ ক্রেইগ ব্রাথওয়েট।
ম্যান অফ দ্য সিরিজঃ সুরাঙ্গা লাকমল।