২০১১ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে এসেছিলেন একজন নাইজেরিয়ান ফুটবলার হিসেবে। এরপর আরামবাগ, বিজেএমসির পর মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদের হয়ে মাঠ মাতিয়ে মন কেড়েছেন বাংলার ফুটবল প্রেমিদের। শুধু ফুটবল প্রেমিদেরই মন কাড়েননি, মন কেড়েছেন বাংলাদেশের এক রমণীরও। বাংলাদেশে আসার এক বছরের মাথায় ২০১২ সালে বাংলাদেশের মেয়ে লিজাকে বিয়ে করেন কিংসলে। তারপর থেকে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য কত-শত চেষ্টা। তবে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে নাগরিক হতে হলে অবশ্যই নাইজেরিয়ান নাগরিকত্ব বাদ দিতে হবে। এমন শর্ত এলিটা কিংসলে অনায়েসেই মেনে নেন, কেননা তিনি যে বাংলাদেশেই থীতু হতে চান। ২০১৫ সালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলেও তা বাস্তবায়িত হতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ বছর। গত ১৪ই মার্চ তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হাতে পেলেও পাসপোর্ট না পাওয়ায় বসুন্ধরা কিংসের হয়ে মাঠে নামতে পারছিলেন না এলিটা কিংসলে। [caption id="attachment_14061" align="aligncenter" width="1920"] বসুন্ধরার জার্সিতে এলিটা কিংসলে। ছবিঃ বসুন্ধরা কিংস ফেসবুক পেজ[/caption] অবশেষে আজ বাংলাদেশের পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন তিনি। বসুন্ধরা কিংস তাদের অফিসিয়ান ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পোস্টে ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে পাসপোর্ট হাতে এলিটার ছবি দেয়া হয়েছে। অভিনন্দন জানানো হয়েছে কিংসলেকে, “আমাদের নিজস্ব এলিটা কিংসলেকে অভিনন্দন। এখন থেকে তুমি বাংলাদেশি। পুরো কিংস দল তোমার সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত ভবিষ্যত কামনা করছে।” এর ফলে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে আর বাধা নেই এলিটার। প্রিমিয়ার লিগের মধ্যবর্তী দল বদলে বসুন্ধরা কিংস তাদের দলে কিংসের নাম অন্তভূক্ত করায় লিগের বাকি অংশে বাংলাদেশি হিসেবেই খেলবেন তিনি। এছাড়া এবারের এএফসি কাপেও বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতাবেন এলিটা কিংসলে। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ভাল খেলতে পারে সুযোগ পেতে পারেন লাল-সবুজের জার্সিতে। কেননা তার মত স্ট্রাইকারকেই দরকার বাংলাদেশ দলে।