চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের পথটা আগের দিনই তৈরি করে রেখেছিলো পাকিস্তান। যদিও শেষে দিনে অলৌকিক কিছুর আশা করেছিলেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে তেমন কিছুই হয়নি, বরং প্রথম সেশনেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরানের পার্টনারশিপ গড়ে সোমবার ১০৯ রানে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন আবেদ আলী এবং অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক। আজ স্কোরবোর্ডে আরও ৪২ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ১৫১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ৭৩ (১২৯) রানে সাজঘরে ফিরেন আব্দুল্লাহ।
[caption id="attachment_56497" align="aligncenter" width="1000"] আবিদ ও আব্দুল্লাহ (ছবি; এএফপি)[/caption]
অপরপ্রান্তে সাবলীল ভঙ্গিমায় খেলতে থাকা আবিদ, প্রথম ইনিংসের ন্যায় দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির পথেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯১ (১৪৮) রানে তাইজুলে অফস্ট্যাম্পে পড়ে একটু ভেতরে আসা বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনিও।
ভাগ্য পরীক্ষা করতে যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন পাক ওপেনার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফলে ৯ রানের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আবিদ আলীকে।
বাবর আজমকেও দ্রুত ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তাইজুল। কিন্তু নিজের বলে ফিরতি ক্যাচটা ধরতে না পারায় বেঁচে যাক পাকিস্তান অধিনায়ক। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে না দিয়ে আজহার আলীকে সাথে নিয়ে সফরকারীদের ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
যার ফলে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ থাকলেও প্রথম ইনিংসে ১৩৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছেন আবিদ আলী।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (টস: বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসঃ ৩৩০/১০ (১১৪.৪ ওভার); লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, মিরাজ ৩৮*; হাসান ৫/৫১, ফাহিম ২/৫৪
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসঃ ২৮৬/১০ (১১৫.৪ ওভার); আবিদ ১৩৩, শফিক ৫২, ফাহিম ৩৮; তাইজুল ৭/১১৬, এবাদত ২/৪৭
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসঃ ১৫৭/১০ (৫৬.২ ওভার); লিটন ৫৯, ইয়াসির ৩৬ (রি.), মুশফিক ১৬; শাহীন ৫/৩২, সাজিদ ৩/৩৩
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসঃ ২০৩/২ (৫৮.৩ ওভার); আবিদ ৯১, শফিক ৭৩, আজহার ২৪*, বাবর ১৩*; মিরাজ ১/৫৯, তাইজুল ১/৮৯
ফলাফলঃ পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ আবিদ আলী
Daily Sportsbd is a sports-based news platform that conveys authentic information and news on sports.