দেখতে একদমই ছেলেদের মত। কিন্তু সে শাহেদা আক্তার রিপা।
শাহেদা আক্তার রিপা, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত যাকে এখন এক নামে চিনে। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন করার পিছনে বড় অবদান রেখেছেন কক্সবাজারের এই মেয়ে। পুরো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করে জিতেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা রিপা দেশকে গৌরব এনে দেওয়ার পর থেকেই রোমাঞ্চিত। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই পুরো দেশের ফুটবল-প্রেমীদের কাছ থেকে পেয়েছে অগণিত ভালবাসা। গ্রামের বাড়িতে এলাকার মানুষের ভিড় জমেছে। একে একে সবাই এসে রিপার বাবা-মাকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। রিপার বাবা এতই রোমাঞ্চিত যে ঠিক মত খাবারই খেতে পারছিলেন না।
[caption id="attachment_59730" align="aligncenter" width="615"] শাহেদা আক্তার রিপা।[/caption]
যে রিপাকে নিয়ে এত গর্ব, রোমাঞ্চ, আগ্রহ সেই মেয়েকেই ছোট বেলায় সবাই ভাবতো একজন ছেলে হিসেবে। মাথায় ছিল না মেয়েদের মত লম্বা চুল তাই এলাকার বাইরের মানুষগুলো রিপাকে ছেলে হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে রিপা জানালেন ছোট বেলার সেই মজার কাহিনী; "আমাকে তো কেউ চিনতেই পারতো না। ক্লাস টু'তে থাকতে আমার বাড়ির সামনে ছেলেদের সাথে খেলতাম। আমাদের এলাকা ছাড়া বাইরের কেউ চিনতেই পারতো না যে আমি ছেলে নাকি মেয়ে।"
[caption id="attachment_59808" align="aligncenter" width="1367"] দেখতে একদমই ছেলেদের মত। কিন্তু সে শাহেদা আক্তার রিপা।[/caption]
যে রিপা এখন বাংলাদেশের হিরো সেই কিনা জানতো না বাংলাদেশ নারী দল নামে কোনও কিছু আছে। এটা নিয়ে বলতে গিয়ে খানিকটা লজ্জাই পেলেন রিপা। তিনি বলেন, "মেয়ে হয়েও ফুটবল খেলি দেখে কেউ আমাকে কখনো খারাপ ভাবে বলেনি, সবাই বলতো ভাল করে খেল। ভাল কিছু করতে হবে কিন্তু আমি জানতামই না যে, নারী জাতীয় দল নামে কিছু আছে। আমি এমনি খেলতাম।"
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিয়ে টিকে যান রিপা। ২০১৭ এর শুরুর দিকে ভর্তি হওয়ার পর আর পিছে তাকাতে হয়নি কক্সবাজারের এই মেয়ের। রিপার স্বপ্ন এখন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলের মূল দলের হয়ে খেলা। জাতীয় দলে খেলেও দেশের সুনাম বইয়ে আনতে চান তিনি।
Daily Sportsbd is a sports-based news platform that conveys authentic information and news on sports.