ক্রিকেট > আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
পাকিস্তানের ‘পাহাড় ডিঙিয়ে’ জয়, এক ম্যাচেই যত রেকর্ড গড়লো বাবর আজমরা
গল টেস্টে রেকর্ডের বন্যা বয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

![20220720_232525.jpg [ 20220720_232525.jpg ]](https://img.dailysportsbd.com/storage/2022/07/20/e39e5ac96b633bc497e04a0858af142203091f29.jpg)
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুইশ রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল না কোনো সফরকারী দলের। পাকিস্তান সেখানে তিনশর বেশি রানের লক্ষ্যে জিতে ইতিহাস গড়েছে! সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য বাবর আজমের দল ছুঁয়ে ফেলে ৪ উইকেট হাতে রেখে।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে আনেন বাবর আজম। দ্বিতীয় ইনিংসেও পাক অধিনায়ক অর্ধশত রানের চকচকে ইনিংস খেলেছেন; তবে পঞ্চম দিনে পুরো লাইমলাইট যেব নিজের কাছে ধরে রাখেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক।
ঘনঘন রঙ বদলানো ম্যাচটিতে তরুণ এই ওপেনারের দুর্দান্ত ১৬০ রানের ইনিংসে ভর করেই ঐতিহাসিক জয় পায় পাকিস্তান। অসাধারণ এই জয়ে রেকর্ডবুকও বেশ এলোমেলো করেছে পাকিস্তান। টেস্ট ক্রিকেটে অনেক কীর্তিও গড়েছে বাবর আজমের দল।
গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টোডিয়াম সর্বোচ্চ ৩৪২ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে বাবর আজমের দল। এই মাঠে এর আগের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৮ রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছিল।
এটি টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭৭ রান তাড়া করা জয়ী দলের নামও পাকিস্তান। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কারই পাল্লেকেলেতে ৩৭৭ রান তাড়া করেছিল তারা।
পাকিস্তানের এই জয়ে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছেন মোট ৫২৪ মিনিট অর্থাৎ, ৮ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট। টেস্ট ক্রিকেটে রান তাড়ার ক্ষেত্রে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৯৮ সালে শ্রীলঙ্কান গ্রেট অরবিন্দ ডি সিল্ভা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৩ রান করেছিলেন ৪৬০ মিনিট ক্রিজে টিকে থেকে যা এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে মোট বল খেলেছেন ৪০৮ টি। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ৪০০+ বল খেলার কীর্তি গড়লেন তিনি। আর সফল রান তাড়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বল খেলার রেকর্ড এটি। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারবার্ট সাটক্লিফ ১৩৫ রান করেছিলেন ৪৬২ বল মোকাবেলা করে।
আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যক্তিগত অপরাজিত ১৬০ রান এশিয়ার মাটিতে সফল রান তাড়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কাইল মায়ার্স অপরাজিত ২১০ রান করেছিলেন। ২০১৫ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইউনিস খানও অপরাজিত ১৭১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
সফল রান তাড়ায় ইতিহাসের মাত্র ২ জন ওপেনার ব্যাটসম্যানই শফিকের থেকে বেশি রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ১৯৮৪ সালে লর্ডসে গর্ডন গ্রিনিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবং ১৯৪৮ সালে আর্থার মরিস লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
শুধু তাই নয়, সফল রান তাড়ায় ইতিহাসের মাত্র ২ জন ওপেনার ব্যাটসম্যানই শফিকের থেকে বেশি রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ১৯৮৪ সালে লর্ডসে গর্ডন গ্রিনিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবং ১৯৪৮ সালে আর্থার মরিস লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
পাকিস্তানি ওপেনার আরও কীর্তি গড়েছেন। প্রথম ছয় টেস্ট খেলে শফিক সংগ্রহ করেছেন ৭২০ রান। ইতিহাসের মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যানই প্রথম ছয় টেস্টে এর বেশি রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। সুনীল গাভাস্কার(৯১২) ডন ব্রাডম্যান(৮৬২) এবং জর্জ হেডলি(৭৩০)।