ক্রিকেট > বাংলাদেশের ক্রিকেট
চার ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেয়েছে তামিম ইকবালের দল।

![bdnews24_2022-08_1a52a29b-e780-445e-831f-87719b2a493c_anamul_050822_01.jpg [ bdnews24_2022-08_1a52a29b-e780-445e-831f-87719b2a493c_anamul_050822_01.jpg ]](https://img.dailysportsbd.com/storage/2022/08/05/ab9a15e0c084db0a6da48a44c8aedd5a4b3521e6.jpg)
টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে স্বরুপে ফিরেছে বাংলাদেশ। চার-ছক্কার সিরিজে যেখানে টপ অর্ডাররা ছিলো সীমাহীন ব্যর্থ; সেখানে রঙ্গিন পোষাকে তারা দুর্দান্ত খেলেছে। টপ অর্ডারের চার অর্ধশতকেই সিরিজে এগিয়ে যেতে স্বাগতিকদের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে টাইগাররা।
আজ (শুক্রবার) হারেরেতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের হয়ে ফিফটি করেছেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটারই: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, এনামুল হক বিজয় ও মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ টানা ১৯ ওয়ানডে ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচেই টসে হেরেছিলো বাংলাদেশ। ওয়ানডেও টস ভাগ্য বদলায়নি টাইগারদের। টসে হেরেই ব্যাট করতে তামিম ইকবালের দলকে।
জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরাডুবি ভুলতে এদিন নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে সাবধানী শুরু করে টাইগাররা। ম্যাচের ২৫তম ওভার পর্যন্ত কোনো উইকেটই হারায়নি টাইগাররা। ২৬তম ওভারে সিকান্দার রাজার ৪র্থ ডেলিভারিটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং সেভাবে হয়নি তামিমের। থার্ডম্যান কাইয়ার হাতে ধরা পড়েন। এর আগে ৮৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন এ ড্যাশিং ওপেনার। লিটনের সাথে তার ১১৯ রানের জুটি ভাঙে।
তামিমের আউটের সময় ৪৬ রানে ব্যাট করছিলেন লিটন। এরপর তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ঠাঁই পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন।
দারুণ ব্যাটিং করছিলেন লিটন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলেই ঘটে অনাকাঙিক্ষত ঘটনা। ব্যক্তিগত ৮১ রানে এসে হঠাৎ পায়ে টান পড়ল লিটনের। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন এই ডানহাতি ওপেনার।
লিটনের পর মাঠে নামেন দলের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। আগের দুই সতীর্থের মতো বিজয় ও মুশফিকও হাত খুলে ব্যাট চালিয়ে যান।
৪১তম ওভারে সুম্বার করা ৫ম ডেলিভারিটি লংঅন দিয়ে উড়িয়ে মেরে সীমানা ছাড়া করেন বিজয়।সেই ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৫০ রান স্পর্শ করেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের ৪র্থ হাফসেঞ্চুরি।
ফিফটি স্পর্শ করেই রানের চাকার গতি আরও বাড়িয়ে দেন বিজয়। ৪৫.৫ ওভারে গিয়ে থামে তার ব্যাট। লং অনে মুসকান্দার হাতে ক্যাচ তুলে দিলে ৬২ বলে ৭৩ রানে থামে বিজয়ের ইনিংস। তার এই ইনিংসে ৩ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারির মার ছিল।
এদিকে বিজয়ের মতো মারমুখী হন মুশফিকও। ৪৮ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪২তম হাফসেঞ্চুরি। এ হাফসেঞ্চুরির পথে ৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মি. ডিডেন্ডেবল।অপরদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১৮ রানে।